Something about the great hero HUDUR DURGA of the Adibasi: Hudur durga is the ancient deity of the adivasi. Hudur durga is still worshiped by the indigenous adivasi.
প্রাচীন সমাজে খেরওয়াল জাতির যাদের এখন আমরা সাঁওতাল বলে জানি) এক সময় এক রাজা ছিলেন। তার নাম হুদুড় দূর্গা। হুদুড় শৌর্য-বীর্য ও সততা ছিল প্রশংসনীয়।আর্য জাতির রাজা ইন্দ্রের নেতৃত্বে আর্য জাতির লোকেরা বার বারই তার সঙ্গে যুদ্ধ বানিয়েছে, আর পরাজিত হয়েছে। সাত সাত বার পরাজিত হওয়ার পর ইন্দ্র কৌশলের আশ্রয় নেন। তিনি হুদুড় সঙ্গে সখ্যর প্রস্তাব দেন এদিকে আদিবাসীরা হুদুড় জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। তাদের বিশ্বাস ও হুদুড় কোনোও পাপ করে না বলেই সে জয়ী হয়। আদিবাসীদের সাতজন বীর সর্বদাই হুদুড় ঘিরে থাকতেন।ফলে আর্য জাতি, যারা নিজেদের দেব জাতির বলে ঘোষণা করত, তারা হতাশ হয়ে পড়ছিল। তারা হুদুড় দুর্বলতা খোঁজে ছিল। সেই খোঁজেরই অঙ্গ হিসাবে তিনি দিলেন সখ্যের প্রস্তাব। হুদুড় মন ভোলাতে ইন্দ্র প্রথমেই পাঠালেন নিজের বোন দেবিকে। বরফ গলল না, দেবী ফিরে গেলেন। কিন্তু দেবীর মন জুড়ে পড়ে রইল এক আদিবাসী যুবক। বোন ব্যর্থ হওয়ার পর আসরে নামলেন ইন্দ্র স্বয়ং। সরাসরি সন্ধির প্রস্তাব দিলেন হুদুড়কে। অধিকৃত অঞ্চলে ধরে শাসন করার অধিকার ভাগাভাগির প্রস্তাব।সেইসঙ্গে বিশ্বাস অর্জনের জন্য বোন বিবির সঙ্গে অপারেজয় হুদুড়ের বিয়ের প্রস্তাব। আদিবাসীরা শান্তিপ্রিয় জাতি। খেরওয়াল ভাষায় "বির" শব্দের অর্থ জঙ্গল। তারা শক্তিশালী বীর জাতির মানুষ,কিন্তু ঘন জঙ্গলের মতোই শান্ত। তারা সরল। তথাকথিত সভ্য আর্যদের মতো কূটকৌশল জানে না। হুদুড় বিশ্বাস করলেন ইন্দ্রকে। বোন দেবীকে বিয়ে করে শান্তির পথ বেছে নিলেন। ইন্দ্রের গোপন অভিপ্সা ছিল হুদুড়ের দুর্বলতা ও দুর্বলতা মুহূর্তের খোঁজা পাওয়া। বারবারই কৌশলে সে কথা জানতে চাইতেন দেবীর থেকে। অবশেষে একদিন পেয়ে গেলেন। দেবী জানালেন সর্বদাই সাত রক্ষী হুদুড়কে ঘিরে থাকলেও শোবার ঘরে তারা থাকে না। এবং শোবার ঘরে আসার আগে হুদুড়ের সঙ্গে অস্ত্র রেখে আসেন। এইটুকু জানার পরে ইন্দ্র তার বাছাই করা চার জন কৌশলী সেনাকে দায়িত্ব দিলেন বাকি কাজ সমাপ্ত করার। তারা চারজনই ইন্দ্র ভাগ্নী দেবীর পরিচিতি।তারা সহজেই প্রবেশ করতে পারলেন হুদুড়ের অন্দরমহলে এবং সেখান থেকেই হুদুড়কে তুলে নিয়ে চলে এলেন। আত্মীয় জ্ঞান বিশ্বাস করাটাই হুদুড়ের কাল হলো।চারজন সুপারি পাওয়া সেনাও দেবি কে সঙ্গে নিয়ে আসায় দেবির উপর কারও সন্দেহ হওয়ার সুযোগ রইল না। অন্যদিকে আদিবাসীরা জানতে পারলো না কোথায় গেলেন হুদুড়। পরে বুঝলেন অপহৃত হয়েছেন হুদুড় ও দেবি। তারা খুঁজতে বেরোলেন। খোঁজার জন্য তারাও বেশ বদলালেন।
ছেলেরা মেয়ের মতো পোশাক পরে বেরিয়া পড়লো হুদুড় দূর্গা এর খোঁজে । পেখমের পিছনে লুকলেন তীর। ধনুকটাকে কে বাঁকিয়ে বানালেন এক তারের যন্ত্র- ভুয়াং বা বুয়াং। তার ছিলাই টঙ্কার দিয়ে বাজাতে থাকলেন এমন একটি গান, যার অর্থ কেবল হুদুড়েই জানে। সেই গান গাইতে গাইতে নাচতে নাচতে তারা বাড়ি বাড়ি ঘুরতে থাকলেন। প্রত্যেক বাড়ি থেকে কিছু না কিছু চাইতে থাকলেন চাল, কলা, মুড়ি, বাতাসা - যাহোক। এই নাচটির নাম দাঁশায়। তাদের সংস্কৃতির জীবনে এই একটি নাচের সময় আদিবাসীরা অন্যদের কাছে হাত পেতে কিছু চাই। দাশায় আজও নাচেন আদিবাসীরা এবং সেটা আমাদের প্রচলিত দশমীর দিন থেকে পরের 3-4 দিন। এদিকে হুদুড় কে বন্দী করে সোজা ইন্দ্রের দরবারে এনে ফেলা হলো। ইন্দ্র বোন দেবীকে বললেন, হত্যা করো হুদুড়কে। জগৎ তোমাকে পূজা করবে। বেঁকে বসলেন দেবী। বললেন হুদুড় আমার স্বামী। তাকে আমি হত্যা করতে পারবো না। আর স্বামী হারিয়ে বিধবার বেশে পূজো আমি চাইনা। আমার স্বামী ছাড়া পুজো চায়না। ইন্দ্রের নির্দেশে চারজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা হুদুড়কে হত্যা করল। কিছু গোপন কথা জানিয়ে দেওয়ার পুরস্কার স্বরূপ দেবীর পূজা প্রচলন করতে চাইলেও শোকার্ত দেবী নারাজ। অগত্যা, দেব প্রজাতির অন্যান্য কর্তারা ইন্দ্রকে বোঝালেন। এবার ইন্দ্র রাজি হলেন। বললেন, বেশ। দেবীর পুজো হবে সধবা অবস্থাতেই, স্বামীর সঙ্গে। তবে স্বামী থাকবে দেবীর পদতলে। সেই মূর্তিতে দেবীর পায়ের কাছে ঠাই পেলেন হুদুড় দূর্গা । এই হলো দেবি ও (হুদুড়) দুর্গার পুজো - দেবী - দুর্গা। আজকের অসুরই আদিবাসীদের হুদুড় দুর্গা। আজও অসুরের পুজো করেই দুর্গার পুজো হয়।
জাহার
Adi adi sarhow
ReplyDeletePost a Comment