বাবা তিলকা মাঝি

  বাবা তিলকা মাঝি (Baba Tilka Majhi)
 

 

Baba tilka majhi

 

        1781সাল। ভাগলপুর অঞ্চলে এক সাঁওতাল নেতা ব্রিটিশ শাসকদের রাতের ঘুম হারাম  কেড়ে নেয় । এই নেতার নাম তিলকা মাঝি (মুরমু) ।তিলকা মাঝি তিলকপুর , সুলতানগঞ্জ গ্রামে ,11 February 1750 সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম চুনু মুরমু । তিলকা মাঝি জবরা পাহাড়িয়া  নামেও পরিচিত।

    পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ শাসকেরা সাধারন মানুষদের  জমি কেড়ে নেওয়া, জোর করে খাজনা আদায় করা , অকারনে অত্যাচারের  । এর বিরুদ্ধে বাবা তিলকা মাঝি ব্রিটিশ শাসকে দের উদ্দেশ্য বিদ্রোহের ঘোষণা করেন কিন্তু এই বিদ্রোহে পরবর্তী কালে তা মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার বিদ্রোহে রূপান্তরিত হয়। তিলকা মাঝি  নেতৃত্বে হাজার হাজার সাঁওতাল ও পাহাড়িয়ারা দেশকে ভিনদেশীদের কবল মুক্ত করার সংকল্পে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই-এ সামিল হয়। হাজার হাজার সাঁওতাল মৃত্যুবরণ করেছিল। 1784 সালের 13ই জানুয়ারী, ভাগলপুরের কালেক্টর অগাষ্টাস ক্লীবল্যান্ড  তিলকা মাঝি  তীরের আঘাতে (অনেকে বলেন বঁটুলের গুলিতে ) মারাত্মক ভাবে অহত হন এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবশেষে প্রাণ হারান | অনেক চেষ্টার পর তিলকা মাঝি  ধরা পড়ে। বিচারের প্রহসনে তার মৃত্যুদন্ড হয়। ঘােড়ার পিছনে শক্ত করে তিলকাকে বেঁধে ঘােড়া ছুটিয়ে দেওয়া হয়। ছুটন্ত ঘােড়ার পিছন পিছন তিলকার রক্তমাখা শরীরও। এপাশ ওপাশ ডিগবাজী খেতে খেতে ঘােড়ার গতির সঙ্গে ঘুরতে থাকে। তবু ও বাবা তিলকা মাঝি  মৃত্যু না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ভাগলপুরের এক বিশাল মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছে তাকে ফাসি দেওয়া হয় প্রকাশ্যে। 1785 সালের এই মর্মান্তিক ঘটনাও কিন্তু সাঁওতাল তথা আদিবাসীদের দমিয়ে রাখতে পারে নি। ইংরেজ সুরকার ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের হাতে লাঞ্ছিত, নির্যাতিত আদিবাসীদের ধৈর্য্যের। ব্রাধ ভেঙ্গে পড়ল। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকাঙ্খী আদিবাসীদের একের পর এক বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠল।

 ইতিহাসের ক্রমে এ গুলি হল


1) 1789 সালের তামাড় বিদ্রোহ
(2) 1799 সালের চুয়াড় বিদ্রোহ
(3) 1800 সালের ভীল বিদ্রোহ
(4) 1829 সালের খাসী বিদ্রোহ
(5) 1831 সালের কোল বিদ্রোহ
(6) 1833 সালের ভূমিজ বিদ্রোহ
(7) 1838 সালের নাগা বিদ্রোহ
(8) 1855 সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ।





0/Post a Comment/Comments