অসুর জনজাতি Asur Community
![]() |
Pic Source :- itihasadda |
অসুর আদিবাসী সবচেয়ে পুরনো জনগোষ্ঠীর গুলির মধ্যে বিবেচনা করা হয়। অসুর জনজাতি ভারতের ঝাড়খন্ড, বিহার উড়িষ্যা ছত্রিশগড় পশ্চিমবঙ্গে ও দেখা যায়। অসুর জাতিকে ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে প্রাচীনতম জনগোষ্ঠী এবং জনসংখ্যার দিক থেকে ২১ তম স্থানে রয়েছে।
অসুর জাতির উৎপত্তি নিয়ে অনেকের নানা রকম মতামত আছে ঃ-
সায়নাচায্যর মত অনুসারে-অসুর জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাদীক্ষায় অনেক উন্নতি ছিল। অসুর শব্দের অর্থ তিনি বর্ননা করেছিলেন যে - অসুর জাতি বলবান, প্রজ্ঞাবান ,শত্রুনাং, নিরসিত ও প্রাণস্য দাতা। যখন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গীয় শব্দকোষের বইয়ে এই অর্থই পাওয়া যায়। ঋকবেদেও এ অর্থ প্রযুক্ত হয়েছে। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে অসুর গোষ্ঠীকে "নিষাদ" বলে পরিচিত ছিল। যার মানে করলে -- যাদের মধ্যে কোন খাদ নেই-যার পাঁচ মিশে জাতি নয়। তাই খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম চতুর্থ শতকে পানিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ তৈরীর সময় লিখেছিলেন "নিষাদপঞ্চমা পঞ্চ জনাহ" অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ক্ষৈত্র বৈশ্য শূদ্র নিষাদকে ধরে সমাজের পাঁচ বর্ণ হয়। পরে পুরাণকালে ব্রাহ্মন্য ধর্ম জাঁকিয়া বসলে "নিষাদ" গোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে চতুরবর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা চালু হয়।
ডক্টর কে সি টুডু তার ঝাড়খন্ড আদিবাসী জীবন ও সমাজ বইতে লিখেছেন অসুর কথার অর্থ হলো ঈশ্বরের প্রতীক।
অসুর আদিবাসীরা ``অসুরী" ভাষায় কথা বলে যা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষার মুন্ডা এবং সাঁওতালি পরিবারের অন্তর্গত ।
অসুর নিজেদের কে তিন ভাগে ভাগ করেছে ১)- বীর, ২)-বিরজিয়া, ৩)-অগরিয়া । অসুর জনজাতিদের প্রধান পেশা হল লোহা গলানো। এরা সাথে এর শিকার এবং কৃষি কাজেও করে থাকে।
অসুর জনজাতিদের ২০১৪ সালে তপশিলির উপজাতি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিলো । ঝাড়খণ্ডের একটি বিশেষ দুর্বল উপজাতি গোষ্ঠী(PVTG) হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এদের সমাজে অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের জন্য গিতিঅৗড়াঃ বা যুবাগৃহ বানানো হয়।এই গিতিঅৗড়াঃর ভিতরে নাচ গান শেখানো হয়ে থাকে।
অসুর সমাজে কোনো কন্যাকে বিয়ে করতে হলে বর পক্ষ কে "বধূমূল্য" দিতে হয় ,যা এই প্রথা এখনো পর্যন্ত রয়েছে।
এদের প্রধান দেবতা হলো সিঞ বোঙ্গা আরো অন্যান্য দেবতা রয়েছে যেমন ধারতি আয়ে,পাট পহাড়ী,গৌরয়া ইত্যাদি। এদের গোত্র গুলি হল - লীলা,ব্ব্খব, ধাত মিঁজঃ,খুসর ইত্যাদি।
PVTG LIST ...pdf file
Post a Comment